Adarsha hindu hotel by Bibhutibhushan Bandyopadhyay- Bangla Book Review
গল্পের মূল চরিত্রে হাজারি ঠাকুর, তার বয়স ৪৬। রেলওয়ের পাশের একটা হোটেলের রসুই (Chef) ।এখানে সে ৭ টাকা বেতনে চাকরি করে। তার স্বপ্ন নিজের একটা হোটেল দেয়া। তার স্বপ্ন তার হোটেল থেকে কেউ না খেয়ে ফিরবেনা, ডালের মধ্যে কেউ ভাতের মার মিশাবেনা, হোটেলের লাভ হোক বা না হোক সবাই খেয়ে তৃপ্তি পাবে। কিন্তু এতো কিছু হবে কিভাবে? ৭ টাকা বেতনে তার নিজেরইতো ঠিক মতো চলেনা! আর জমাবে কি? হোটেল খুলতে ২০০ টাকার মতো লাগে
বিধবা কুসুম তার গ্রামের মেয়ে, গোয়ালিনী। হাজারির মেয়ের বয়সী। হোটেলে ভালো কিছু রান্না হলে হাজারি নিজের ভাগ থেকে কুসুমের জন্য রেখে দেয়।সেটা নিয়ে হোটেলের অন্যান্য কর্মচারীরা নানান কথা ছড়ায়। হোটেলের অন্য এক কর্মচারী পদ্মঝি তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার নামে অন্যদের কানে কথা রটায়। এই toxic culture থেকে হাজারি বের হতে চায়। কিন্তু হোটেল খোলার ২০০ টাকা ? সেটা পাবে কিভাবে? যত কষ্টই হোক এখন চাকরিটা ছাড়া যাবেনা। মুখ বুঝে সব সহ্য করতে হবে। ২০০ টাকা funding raise করার জন্য হাজারি চেষ্টা করতে থাকে।অন্যের কাছে হাত পাততে তার লজ্জা লাগে। তারপরেও কয়েকজনের কাছ থেকে চেয়েই ফেলে! তারা টাকা না দিতে পারলেও হোটেল খোলার জন্য হাজারিকে inspire করে। তারা তাকে বোঝায় হোটেল খোলার সব যোগ্যতা হাজারির আছে। এতে সে অনেক বেশি উৎসাহ পায়।
একদিন হোটেল থেকে বাসন-কোসন চুরি হয়। দোষ চলে আসে হাজারির উপর। তারপর তার চাকরি চলে যায়, এমনকি তাকে জেলেও যেতে হয়।
জেল থেকে বের হয়ে কুসুম এবং অতসীর (তার মেয়ের বান্ধবী) কাছ টাকা থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করে দেয় নিজের হোটেল। শুরু হয় নতুন যাত্রা “আদর্শ হিন্দু হোটেল”। অল্প দিনের মধ্যেই সেই হোটেলের সুখ্যাতি ছড়াতে থাকে চারদিকে। এই হোটেলের নাম-ডাক সুখ্যাতি এতোই ছড়িয়ে পরে যে রেলওয়ের আশেপাশের অন্যান্য হোটেল বন্ধ হয়ে যায়। হাজারি যে হোটেলে চাকরি করতো সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। তার কিছুদিন পরে সেই হোটেলের মালিক বেচু চকত্তিকে আদর্শ হিন্দু হোটেলের দেখাশুনার জন্য নিয়োগ করা হয় এবং পদ্মঝিকেও চাকুরী দেয়া হয়।
একটি স্বপ্ন পূরণের গল্প, প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে থেকে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার গল্প।
Recommended book for all wanna-be Entrepreneurs.